“ফল ও ফলের বীজ উভয়েই উপস্থিত জাম্বোলাইন ও জাম্বোসাইন নামক পদার্থ রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।” কি,অবাক হচ্ছেন? ভাবছেন ফল ও ফলের বীজ কিভাবে একই ভূমিকা পালন করে ? হ্যাঁ,জাম ও জাম বীজ চূর্ন উভয়েই উপস্থিত জাম্বোলাইন ও জাম্বোসাইন নামক পদার্থ রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। তাছাড়া জামের বীজ রক্তে ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং বীজগুলো শুকিয়ে গুঁড়ো করে প্রত্যেকদিন খালি পেটে খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এছাড়াও জাম বীজ চূর্নে রেয়েছে আরও বহুবিধ গুন ও উপকারীতা। চলুন জেনে নেওয়া যাক নিরাময়ী জাম বীজ চূর্নের কিছু ভেষজ ও আয়ুর্বেদীয় গুন এবং উপকারীতা ।
জাম বীজ চূর্ন এর উপকারীতা :
ম্যাক্রোবায়োটিক পুষ্টিবিদ ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ শিল্পা অরোরা জানাচ্ছেন, “ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে জামের বীজ বা বীজ চূর্ণ খুবই উপকারী। ফল ও বীজ উভয়েই উপস্থিত জাম্বোলাইন ও জাম্বোসাইন নামক পদার্থ রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। জামের বীজ রক্তে ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। বীজগুলো শুকিয়ে গুঁড়ো করে প্রত্যেকদিন খালি পেটে খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে।”
নিরাময়ী জাম বীজ চূর্ণের উপকারী প্রোফাইল্যাকটিক ক্ষমতা হাইপারগ্লাইসেমিয়া প্রতিরোধে সাহায্য করে।
আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ রাম এন কুমারের মতে,”জামের বীজ অধিকাংশ আয়ুর্বেদিক ডায়াবেটিসের ওষুধ তৈরিতে ব্যবহার হয়।”
নিরাময়ী জাম বীজ চূর্ণ সুগার রোগীদের ঘনঘন প্রস্রাব ও তৃষ্ণার প্রবণতা অনেকটাই কমিয়ে দেয়।
নিরাময়ী জাম বীজ চূর্ণ রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় নিরাময়ী জাম বীজ চূর্ণ।
নিরাময়ী জাম বীজ চূর্ণ অ্যানিমিয়া এবং জন্ডিসকে নিরাময় করে।
নিরাময়ী জাম বীজ হাড়ের ক্ষয় রোধে সাহায্য করে।এতে আছে লৌহ,ক্যালসিয়াম ও পটাশিয়াম;যা হাড়ের ক্ষয়রোধে দারুণ কার্যকর। তাই বয়স্ক মানুষদের নিয়মিত নিরাময়ী জাম বীজ চূর্ণ সেবন করা উচিত।
কিভাবে জামের বীজ ব্যবহার করবেন :
জাম বীজ চূর্ণ এক গ্লাস জলে এক চা-চামচ জামের বীজের গুঁড়ো মিশিয়ে রোজ সকালে খালি পেটে পান করুন।