প্রাকৃতিক কাঁচা অর্গানিক মধুতে আপনার শরীরের জন্য বিভিন্ন ধরনের উপকারিতা  রয়েছে। নিরাময়ী কালোজিরা ফুলের মধু খেতে একেবারে খেজুরের গুড়ের মতো স্বাদ লাগে। গন্ধটাও খানিকটা খেজুরের গুড়ের সাথে মিলে যায়। মধুর কোয়ালিটির উপরে ডিপেন্ড করে এর ঘনত্ব কম-বেশি হতে পারে। মধু পাতলা হলে ফেনা হতে দেখা যায়।চলুন জেনে নেওয়া যাক আমাদের নিরাময়ী কালোজিরা ফুলের খাঁটি ও ভেজাল মধুর বৈশিষ্ট্য এবং এই মধুর নানা  উপকারিতা সম্পর্কে।

কালোজিরা ফুলের খাঁটি মধুর বৈশিষ্ট্য:

• দেখতে কালো রংয়ের হয়। (ধনিয়া + অন্যান্য ফুলের মধুর উপস্থিতি কমবেশের কারণে কাল রংটা হালকা বা গাড় হতে পারে)
• খেতে একেবারে খেজুরের গুড়ের মত স্বাদ লাগে।
• গন্ধটাও খেজুরের গুড়ের সাথে মিলে যায়।
• মধুর কোয়ালিটির উপরে ডিপেন্ড করে ঘনত্ব কমবেশি হতে পারে।
• মধু পাতলা হলে ফেনা হতে দেখা যায়। আর ঘনত্ব বেশি হলে ফেনা হতে দেখা যায় না।
• সাধারণত কালোজিরা ফুলের খাঁটি মধু জমে যেতে দেখা যায় না।

কালোজিরা ফুলের ভেজাল মধুর বৈশিষ্ট্য:

• দেখতে কালো রংয়ের হয় এবং ঘনত্ব কমবেশি হতে পারে।।
• স্বাদ খুবই অরুচিকর এবং অনেক সময় তিতা তিতা ভাব লাগে। জিব্বা আরষ্ট হয়ে যায়। কস কস অনুভূত হয়। কিছু ভেজাল মধুতে অনেক বেশি ঝাঁজ থাকে। ঝাঁজ কমবেশও হতে পারে।
• বাজে একটা গন্ধ লাগে। খাঁটি মধুর মতো সম্পূর্ণ খেজুরের গুড়ের মতো লাগে না। মাঝে মধ্যে ধুমাটে গন্ধ ও পাওয়া যায়।
• এই ভেজাল মধুর সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, এই মধু পাতলা হলেও কখনই ফেনা হতে দেখা যায় না। আর ঘন হলে তো ফেনা হবার কোনো সুযোগই নাই।
• বেশিরভাগ সময় দীর্ঘদিন পরে নিচে চিনির মতো জমে যেতে দেখা যায়।
• ভেজাল মধুর আরও একটি বড় বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, মধু যত পুরাতন হতে থাকে ততো বেশি মধুর স্বাদ গন্ধ পরিবর্তন হয়ে দুর্গন্ধ হয়ে যায়।

নিরাময়ী কালোজিরা ফুলের মধুর উপকারিতা :

1. নিরাময়ী কালোজিরা ফুলের মধু হৃদরোগ প্রতিরোধ করে।
2. নিরাময়ী কালোজিরা ফুলের মধু রক্তনালি প্রসারণের মাধ্যমে রক্ত সঞ্চালনে সহায়তা করে।
3. নিরাময়ী কালোজিরা ফুলের মধু হৃদপেশির কার্যক্রম বৃদ্ধি করে;
4. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে;দাঁতকে পরিষ্কার ও শক্তিশালী করে নিরাময়ী কালোজিরা ফুলের মধু;
5. নিরাময়ী কালোজিরা ফুলের মধু দৃষ্টিশক্তি ও স্মরণশক্তি বৃদ্ধি করে;
6. নিরাময়ী কালোজিরা ফুলের মধুর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্ষমতা, যা দেহকে নানা ঘাত-প্রতিঘাতের হাত থেকে রক্ষা করে;
7. অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যান্সার প্রতিরোধ করে ও কোষকে ফ্রি রেডিকেলের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে নিরাময়ী কালোজিরা ফুলের মধু;
8. নিরাময়ী কালোজিরা ফুলের মধুর ক্যালরি রক্তের হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়ায়, ফলে রক্তবর্ধক হয় এবং বার্ধক্য অনেক দেরিতে আসে;
9. যারা রক্ত স্বল্পতায় বেশি ভোগে বিশেষ করে মহিলারা, তাদের জন্য নিয়মিত নিরাময়ী কালোজিরা ফুলের মধু সেবন অত্যন্ত ফলদায়ক;
10. নিরাময়ী কালোজিরা ফুলের মধু গ্লাইকোজেনের লেভেল সুনিয়ন্ত্রিত করে;
11. নিরাময়ী কালোজিরা ফুলের মধু আন্ত্রিক রোগে উপকারী। মধুকে এককভাবে ব্যবহার করলে পাকস্থলীর বিভিন্ন রোগের উপকার পাওয়া যায়;
12. আলচার ও গ্যাস্ট্রিক রোগের জন্য উপকারী নিরাময়ী কালোজিরা ফুলের মধু;
13. দুর্বল শিশুদের মুখের ভেতর পচনশীল ঘায়ের জন্য নিরাময়ী কালোজিরা ফুলের মধু খুবই উপকারী;
14. নিরাময়ী কালোজিরা ফুলের মধু শরীরের বিভিন্ন ধরনের নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে এবং উষ্ণতা বৃদ্ধি করে;
15. নিরাময়ী কালোজিরা ফুলের মধুতে স্টার্চ ডাইজেস্টি এনজাইমস এবং মিনারেলস থাকায় চুল ও ত্বক ঠিক রাখতে অনন্য ভূমিকা পালন করে;
16. নিরাময়ী কালোজিরা ফুলের মধু কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে ক্ষুধা, হজমশক্তি ও রুচি বৃদ্ধি করে
17. নিরাময়ী কালোজিরা ফুলের মধু রক্ত পরিশোধন করে;শরীর ও ফুসফুসকে শক্তিশালী করে;জিহ্বার জড়তা দূর করে;
18. নিরাময়ী কালোজিরা ফুলের মধু মুখের দুর্গন্ধ দূর করে;বাতের ব্যথা উপশম করে এবং মাথা ব্যথা দূর করে;
19. নিরাময়ী কালোজিরা ফুলের মধু শিশুদের দৈহিক গড়ন ও ওজন বৃদ্ধি করে;
20. গলা ব্যথা, কাশি-হাঁপানি এবং ঠাণ্ডা জনিত রোগে বিশেষ উপকার করে এই নিরাময়ী কালোজিরা ফুলের মধু।
21. শারীরিক দুর্বলতা দূর করে এবং শক্তি-সামর্থ্য দীর্ঘস্থায়ী করে এবং ব্যায়ামকারীদের শক্তি বাড়ায় নিরাময়ী কালোজিরা ফুলের মধু।
22. নিরাময়ী কালোজিরা ফুলের মধু ব্যায়ামকারীদের শক্তি বাড়ায় খাওয়ার সাথে সাথে শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি করে, ফলে শরীর হয়ে উঠে সুস্থ, সতেজ এবং কর্মক্ষম।

নিরাময়ী কালোজিড়া ফুলের মধু খাওয়ার নিয়ম:

হজমের সমস্যা অনেকাংশে দূর করার জন্য এই মধু খেতে চাইলে প্রতিবার ভারী খাবারের আগে এক চামচ মধু খেয়ে নিন। বিশেষ করে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক চামচ মধু খান।