ক্যামোমিল (Chamomile) এমন একটি ঔষধি উদ্ভিদ যা হাজার বছর ধরে বিভিন্ন শারীরিক ও মানসিক সমস্যার সমাধানে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এটি মূলত দুটি প্রজাতির হয়—জার্মান ক্যামোমিল (Matricaria chamomilla) এবং রোমান ক্যামোমিল (Chamaemelum nobile)। উভয়ই তাদের স্বাস্থ্য উপকারিতার জন্য সমানভাবে সমাদৃত। বিশেষ করে চা আকারে এটি অত্যন্ত জনপ্রিয়।
১. ঘুমের উন্নতি: ক্যামোমিল চা মূলত আরামদায়ক ঘুমের জন্য পরিচিত। এতে উপস্থিত ‘অ্যাপিজেনিন’ নামক ফ্ল্যাভোনয়েড একটি হালকা সেডেটিভ হিসেবে কাজ করে, যা মানসিক চাপ কমিয়ে আরামদায়ক ঘুম আনতে সাহায্য করে।
২. মানসিক চাপ ও উদ্বেগ হ্রাস: ক্যামোমিল চা পান করলে মানসিক চাপ ও উদ্বেগ হ্রাস পায়। এর আরামদায়ক সুগন্ধ এবং চা-এর প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য মানসিক প্রশান্তি দেয়।
৩. হজমের সমস্যা সমাধান: ক্যামোমিল চা হজমের জন্যও অত্যন্ত উপকারী। এটি পেটের ব্যথা, গ্যাস বা অ্যাসিডিটির সমস্যা কমাতে সহায়ক। যারা ইরিটেবল বাওয়েল সিন্ড্রোম (IBS) বা বদহজমে ভোগেন, তাদের জন্য ক্যামোমিল অত্যন্ত কার্যকর।
৪. ত্বকের যত্ন: ক্যামোমিলের অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা ত্বকের প্রদাহ কমায়। এটি প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করতে পারে এবং ব্রণ কমাতেও সহায়ক।
১. চা: ক্যামোমিল চা হলো এর সবচেয়ে সাধারণ ব্যবহার। ক্যামোমিল ফুল গরম পানিতে ডুবিয়ে রেখে তৈরি করা হয় এই চা। এটি সাধারণত রাতে ঘুমানোর আগে পান করা হয়।
২. তেল: ক্যামোমিল তেল, এর অপরিহার্য তেল হিসেবে, ত্বকের যত্ন, ম্যাসাজ, এবং স্নান তৈল হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এটি শারীরিক ও মানসিক আরাম দিতে সহায়ক।
৩. স্কিন কেয়ার পণ্য: ক্যামোমিল এক্সট্র্যাক্ট অনেক বিউটি প্রোডাক্টেও ব্যবহার করা হয়, বিশেষত ত্বকের প্রদাহ কমানোর জন্য।