জ্বর, সর্দি, কাশি, গলা ব্যাথা, গলা বসে যাওয়া, টন্সিলাইটিস ইত্যাদি ক্ষেত্রে এক নিরাময়ী আয়ুর্বেদিক ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয় কালোমেঘ গুড়া। এছাড়াও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতে, প্রদাহ কমাতে, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সুরক্ষা প্রদান করতে, পেটের সাথে সম্পর্কিত সমস্যার জন্য কালমেঘ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি আয়ুর্বেদিক ও নিরাময়ী ঔষধ হিসাবে আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী।
নিরাময়ী কালোমেঘ গুড়ার উপকারীতা:
কালোমেঘ গুড়ার ব্যবহারের ফলে পেটের গ্যাস, বদহজম, পেটের কৃমি ইত্যাদি দূর হয়।
আয়ুর্বেদিক ও হোমিওপ্যাথিক বিভিন্ন ধরণের রোগের চিকিত্সায় ব্যবহার করা হয় কালোমেঘ গুড়া।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কালোমেঘ গুড়া কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
পেটের কৃমি দূর করতে কালোমেঘ গুড়ার উপকারিতা অনবদ্য।
কালোমেঘ গুড়া লিভার সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করে।
ক্ষতস্থান নিরাময়ে কালোমেঘ গুড়া কাজ করে থাকে।
বদহজম এবং অম্বলতে কালোমেঘ গুড়া যথেষ্ঠ উপকার করে।
কালোমেঘ গুড়া জ্বর সারানোর জন্য যথেষ্ঠ উপকারিতা।
ডায়াবেটিস এবং ডেঙ্গু জ্বরের চিকিত্সার জন্যও কালোমেঘ গুড়া ব্যবহার করা হয়।
চিকুনগুনিয়া জ্বরের চিকিত্সার জন্য কালোমেঘ গুড়া ব্যবহৃত হয়।
কালোমেঘ গুড়া লিভার সুরক্ষা করে এবং রোগীকে দ্রুত সুস্থ করতে সহায়তা করে।
ডায়াবেটিসের কারনে বেড়ে যাওয়া ওজন নিয়ন্ত্রণ করে কালোমেঘ গুড়া।
কালোমেঘ গুড়া দেহের রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি হ্রাস করতে সহায়তা করে।
কালোমেঘ গুড়া কিডনির চিকিত্সায় বেশ উপকারী। কালোমেঘ গুড়ার পাশাপাশি কালোমেঘ পাতাও আপনাকে এ সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে।
কালোমেঘ গুড়া গ্রহণে কার্বন টেট্রাক্লোরাইডের মতো বিভিন্ন রাসায়নিকের থেকে লিভারকে সুরক্ষিত করে।
কালোমেঘ গুড়া ডেঙ্গু বা ম্যালেরিয়া রোগের প্রতিরোধক হিসেবেও কাজ করে।
কালোমেঘ গুড়ার এন্ড্রোগ্রাফোলাইডে অ্যান্টিভাইরাল এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এটি ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস প্রতিরোধ করে।
কালোমেঘ গুড়া সাইনাস সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায়।
অ্যানোরেক্সিয়া বা ক্ষুধা হ্রাসের সমস্যার ক্ষেত্রেও কালোমেঘ গুড়ার উপকারিতা প্রচুর।>
পাচনতন্ত্র ঠিক মতো কাজ করে না অনেক সময়। এ সব ক্ষেত্রে কালোমেঘ গুড়া দারুণ ওষুধ।
টনসিলের সমস্যা কারও কারও ক্ষেত্রে দীর্ঘস্থায়ী অস্বস্তির কারণ হয়ে যায়। খেতে পারেন না,গলায় ইনফেকশন হয়ে যায় অনেকের। এক্ষেত্রেও কালোমেঘ গুড়া উপকারী বন্ধুর ভূমিকা পালন করে।
কালোমেঘ গুড়া আলসারেটিভ কোলাইটিসের মতো জটিল রোগ সারিয়ে দিতে পারে।
মানব দেহের হজম ক্ষমতাকে বাড়িতে অন্ত্রের কাজকে সহজ করতে সাহায্য করে কালোমেঘ গুড়া।
হেরিডেটরি ইনফ্ল্যামেটরি ডিজঅর্ডার,যা একটি জিনগত রোগ। অর্থাৎ পারিবারিক ধাতে থাকে। এর উপশমে কালোমেঘ গুড়া অনেক উপকারী।
কালোমেঘ গুড়া রক্তে নাইট্রিক অক্সাইড এবং প্রদাহজনক মধ্যস্থতাকারীদের স্তরকে স্বাভাবিক করে তোলে।
রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসের ব্যথায় যাঁরা কাবু, তাঁদের ক্ষেত্রে কালোমেঘ গুড়া উপকারী হতে পারে। এটি একটি অটোইমিউন ডিসঅর্ডার। এটি শরীরের বিভিন্ন জয়েন্ট অর্থাৎ গাঁটে গাঁটে ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
এইচআইভি বা এইডস রোগের মোকাবিলায় কালোমেঘ গুড়া উপকারী,যা এইচআইভি সংক্রমণের বিস্তারকে বাঁধা দেয়।
অনিয়মিত মাসিক এর সমস্যা বা এর থেকে হওয়া নানা রকম অবাঞ্ছিত সমস্যা সমাধানেরর ক্ষেত্রে কালোমেঘ গুড়া উপকারী।
আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে কুষ্ঠ রোগ এবং কলেরার চিকিৎসা করতে কালমেঘ পাতা তথা কালোমেঘ গুড়া ব্যবহৃত হয়।
কালোমেঘ গুড়া কৃমি নাশক ও রক্ত আমশায় দূর করে।
কালোমেঘ গুড়ার অপকারীতা:
১| গর্ভাবস্থায় কালোমেঘ গুড়া না খাওয়াই ভালো। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নেওয়া একান্ত জরুরি।
২| প্রতিদিন কালোমেঘ গুড়ার রস খেলে নির্দিষ্ট বয়সে মাথা ব্যথা এবং ক্লান্তি দেখা দিতে পারে।
৩| কালোমেঘ গুড়ার অত্যধিক ব্যবহারে অনেকের গ্যাস্ট্রিক সমস্যা হয়। বিশেষত আগে থেকেই এই সমস্যা থাকলে বুঝে শুনে ব্যবহার করুন।
৪| কালোমেঘ গুড়ার রস প্রথম প্রথম খেতে শুরু করলে অনেকের বমি বমি ভাব দেখা দেয়। তবে তা দীর্ঘস্থায়ী হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নিন। অনেকের ক্ষেত্রে ক্ষুধা ও রুচি হ্রাসের সমস্যাও দেখা দেয়।৫| কালোমেঘ গুড়ার অত্যধিক ব্যবহারে অনেকের অ্যালার্জি হতে পারে। কতোটা ব্যবহার করবেন, সেই বিষয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
কালোমেঘ গুড়া খাওয়ার নিয়ম:
ধাপ ১: কালোমেঘ গুঁড়া এক গ্লাস জলে ৩-৪ গ্রাম কালমেঘের গুঁড়ো ফুটিয়ে দিনে দুইবার পান করুন।ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কালমেঘ পাতার উপকারিতা কালমেঘ ব্যাবহার করে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি হ্রাস করতে পারেন। এক গবেষণায় দেখা যায় ডায়াবেটিস রোগের জন্য কালোমেঘের পাতা ব্যবহার সবচেয়ে বেশি কার্যকর। ধাপ ২: রাতে ১ চামচ কালোমেঘ গুঁড়া হাফ গ্লাস পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে উপরের পানিটা শুধু পান করবেন। নিচের জমা অংশ ফেলে দেবেন। সকালেও একই নিয়মে ভেজাবেন ও রাতে খাবেন। বিশেষ প্রযোজনে চিকিৎসকের পরামরাশ নিবেন।
Ed id interdum urna. Nam ac elit a ante commodo tristique. Duis lacus urna, condimentum a vehicula a, hendrerit ac nisi Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit.
Nam ac elit a ante commodo tristique. Duis lacus urna, condimentum a vehicula a, hendrerit ac nisi Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit.
Ed id interdum urna. Nam ac elit a ante commodo tristique. Duis lacus urna, condimentum a vehicula a, hendrerit ac nisi Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing.
Comments ( 3 )
Rachi Card
Ed id interdum urna. Nam ac elit a ante commodo tristique. Duis lacus urna, condimentum a vehicula a, hendrerit ac nisi Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit.
Rachi Card
Nam ac elit a ante commodo tristique. Duis lacus urna, condimentum a vehicula a, hendrerit ac nisi Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit.
Rachi Card
Ed id interdum urna. Nam ac elit a ante commodo tristique. Duis lacus urna, condimentum a vehicula a, hendrerit ac nisi Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing.