নারী পুরুষ উভয়ের মধ্যেই ব্যাপক যৌন উদ্দীপনা সৃষ্টিতে সক্ষমতা বৃদ্ধিসহ শত গুনে গুনান্বিত ও ভরপুর রোগের ন্যাচারাল নিরাময়ী নির্যাস “ নিরাময়ী শতমূলী গুড়া ”,,,,,
মহান সৃষ্টিকর্তার নিয়ামতের শেষ নেই। উপকারি আয়ুর্বেদীয় ভেষজ হিসেবে বিগত প্রায় ২০০০ বছর ধরেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে শতমূলী গুড়া। ১৯ শতকে ফ্রান্সে নববিবাহিত দম্পতিকে বাসর ঘরে পাঠানোর আগে রাতের খাবারের সঙ্গে তিন দফায় অ্যাসপ্যারাগাস বা শতমূলী গুড়ার জুস বা শরবত খাওয়ানো হতো। নিরাময়ী শতমূলী গুড়া নারী পূরুষ উভয়ের মধ্যেই যৌন উদ্দীপনা সৃষ্টিতে ব্যাপক সক্ষম। সব কিছুর মধ্যেই মানব দেহের জন্য উপকারী কিছু না কিছু গুণ আছে।এই নিরাময়ী শতমূলী গুড়া আমাদের দেহের জন্য অনেক প্রয়োজনীয় একটি উপাদান,যা শরীরের জন্য অনেক উপকারি। চলুন জেনে নেওয়া যাক নিরাময়ী শতমূলী গুড়ার আয়ুর্বেদিক ও শারীরিক নানা গুন ও উপকারীতা:
ন্যাচারালস শতমূলীর উপকারিতাঃ
অ্যাসপ্যারাগাস বা শতমূলী গুড়ায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম,ফাইবার,ভিটামিন- A,B6,B9,C,E &,থায়ামাইন ও ফলিক এসিড। ফলিক এসিড শরীরে হিস্টামিন উৎপাদন বাড়ায় বহুগুণে। যা চূড়ান্ত যৌন সুখ পেতে নারী-পুরুষ উভয়ের জন্যই জরুরি।
নিরাময়ী শতমূলী গুড়া দুধের সাথে সেবন করলে শুক্রমেহ,স্বপ্নদোষ ও শুক্রতারল্যরোধ হয়।
স্নায়ুশক্তি,হজমশক্তি নিয়ন্ত্রণে নিরাময়ী শতমূলী গুড়া বিশেষ ভুমিকা রাখে।
নিরাময়ী শতমূলী গুড়া শারীরিক দূর্বলতা দূর করে এবং রক্তস্বল্পতা রোধ করে।
রমোনাল ব্যালেন্স তৈরি করে এবং আমাশয় দূর করে নিরাময়ী শতমূলী গুড়া।
এছাড়াও অ্যাসিডিটি, ব্যথা, ডায়রিয়া, আমশয় ও শরীরের নানা প্রদাহ রোধে নিরাময়ী শতমূলী গুড়া অত্যন্ত কার্যকরী।
অন্ত্রের কৃমি দূর করে এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল হিসেবে কাজ করে নিরাময়ী শতমূলী গুড়া।
যকৃত এবং পিত্ত থলির নানা ইনফেকশন রোধে নিরাময়ী শতমূলী গুড়া অসাধারণ কাজ করে ।
নিরাময়ী শতমূলী গুড়া উচ্চ কিংবা নিন্ম উভয় ধরনের রক্ত চাপকেই নিয়ন্ত্রণে রাখতে অনেক সহায়তা করে।
স্নায়ুশক্তি বৃদ্ধি ও শারীরিক দুর্বলতা কাটাতে নিরাময়ী শতমূলী গুড়া অনেক কার্যকর।
নিরাময়ী শতমূলী গুড়া সেবনে শারীরিক, যৌন দূর্বলতা ও মহিলাদের সাদা স্রাব এসব সমস্যায় উপকার পাওয়া যায়।
মুডকে চাঙ্গা রাখতে নিরাময়ী শতমূলী গুড়ার জুড়ি নেই।
নিরাময়ী শতমূলী গুড়া মূত্রনালীর জ্বালাপোড়া ও রোগ নির্মূল করে। ডাবের পানির সাথে মিলিয়ে সেবন করলে মূত্র স্বল্পতা দূর হয়।
নিরাময়ী শতমূলী গুড়া শারীরিক শক্তিবৃদ্ধি করে ও দাঁতের মাড়ি শক্ত করে।
রক্ত পরিষ্কার করতে সাহায্য করে নিরাময়ী শতমূলী গুড়া।
নিরাময়ী শতমূলী গুড়া সেবনে চুলকানি ও দাউদ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
অরুচি দূর করতে সাহায্য করে নিরাময়ী শতমূলী গুড়া।
নিরাময়ী শতমূলী গুড়া পেটব্যথা কমাতে সহায়তা করে।
বদহজম কমাতে সাহায্য করে নিরাময়ী শতমূলী গুড়া।
নিরাময়ী শতমূলী গুড়া রক্ত বমি কমাতে সাহায্য করে।
জ্বর কমাতে ও কান্তি দূর করতে সাহায্য করে নিরাময়ী শতমূলী গুড়া।
নিরাময়ী শতমূলী গুড়া শরীরের ব্যথা কমাতে ও স্নায়ুশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
ক্ষতিকারক দিক বা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া :
সব কিছুরই ভালো দিকের পাশাপাশি কিছু ক্ষতিকর দিক আছে,তেমনি আমাদের নিরাময়ী শতমূলী গুড়ারও কিছু পার্শ্বপতিক্রিয়া রয়েছে।
নিরাময়ী শতমূলী গুড়া অতিরিক্ত খেলে পাকস্থলীর গোলযোগ, বমিভাব ও বমি প্রভৃতি দেখা দেয় বা দেখঅ দিতে পারে। তাই এটি অতিরিক্ত খাওয়া যাবে না।
যাদের কিডনিতে সমস্যা তারা নিরাময়ী শতমূলী গুড়া খাওয়া থেকে দূরে থাকবেন।
শতমূলী খাওয়ার নিয়মঃ
১ চা চামচ নিরাময়ী শতমূলী গুড়া এক গ্লাস পানিতে মিলিয়ে খেতে হবে।
প্রতিদিন রাতের খাবারের দেড় ঘন্টা পর এক গ্লাস পরিমাণ দুধ বা গরম পানির সাথে নিরাময়ী শতমূলী গুড়ার ১ চামচ গুড়া দিয়ে গরম করে খাবেন। সাথে মধু দিয়ে খেলে সবচেয়ে ভালো।
নিরাময়ী শতমূলী গুড়া ১৫-২০ মিলি. (৩-৪ চামচ) এক গ্লাস পরিমাণ দুধের সাথে মিশিয়ে সকাল ও বিকেলে সেবন করলে উপকার পাওয়া যায়। তবে উল্লিখিত নিয়মে ১০-১৫ দিন সেবন করে যাওয়া উচিত।
শুক্রমেহ ও স্বপ্নদোষ প্রশমনে ১০ গ্রাম পরিমাণ নিরাময়ী শতমূলী গুড়া প্রতিদিন দুধসহ দুইবার সেবন করলে ভালো ফল পাওয়া যায়। উল্লিখিত নিয়মে এক মাস সেবন করে যাওয়া উচিত।