অশ্বগন্ধা মানুষের ক্লান্তি দূর করে খুব সহজেই। এর ফলে ঘুম আসে তাড়াতাড়ি, যা অনিদ্রা দূর করতে সাহায্য করে। অশ্বগন্ধার অ্যানজাইলটিক উপাদান মানুষের স্নায়ুতন্ত্রের উপর কাজ করে মানসিক চাপ কমাতে সক্ষম। মানুষের স্মৃতিশক্তি বাড়াতে অশ্বগন্ধা বেশ কার্যকর।
অশ্বগন্ধা গুড়ার উপকারিতা:
(১)অশ্বগন্ধার প্রলেপ আক্রান্ত ত্বকের ওপর লাগালে ক্ষত সেরে যায়।
(২)অশ্বগন্ধা পুরুষদের প্রজনন ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। নিয়মিত অশ্বগন্ধা সেবনে পুরুষদের মধ্যে শুধু যৌন ইচ্ছা বাড়ায় না, শুক্রাণু সংখ্যা এবং টেস্টোটেরনের হার বৃদ্ধিতে এটি কার্যকরী হয়।
(৩)অশ্বগন্ধা মন শান্ত করে, যা আবার শরীরে কর্টিসল মাত্রা কমায়।
(৪)চাপ এবং দুশ্চিন্তা কমিয়ে অশ্বগন্ধা মাথা ঠান্ডা করতে সাহায্য করে বলে ঘুম খুব ভাল হয়।
(৫)অশ্বগন্ধা মানসিক চাপ, অবসাদ এবং দুশ্চিন্তা কমায় এবং মানসিক চাপ সংক্রান্ত সমস্যা যেমন উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়বিটিস প্রতিরোধ করে।
(৬)কার্যকর প্রদাহ-বিরোধী হওয়ায় অশ্বগন্ধা আর্থারাইটিসের ব্যাথা এবং ফোলা কমায়।
(৭)অশ্বগন্ধা হচ্ছে অসাধারণ রোগ প্রতিরোধী। সংক্রমণের বিরুদ্ধে শরীরের রোগ প্রতিরোধী শক্তি বাড়িয়ে তোলে।
(৮)ক্ষত নিরাময় দ্রুত হওয়ার জন্য প্রাথমিক স্তরে অশ্বগন্ধা খাওয়ানোর সুপারিশ করা হয়।
(৯)অশ্বগন্ধা মানসিক সমস্যার দরুণ পুরুষদের লিঙ্গ উচ্ছৃত হওয়ার সমস্যা দূর করতে এবং শুক্রাণু বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
(১০)থাইরয়েড প্রক্রিয়া বৃদ্ধি করে: দেখা গিয়েছে অশ্বগন্ধা শরীরে T4 মাত্রা বৃদ্ধি করতে এবং হাইপোথাইরয়েডিজম কমাতে সাহায্য করে। তবে, মানব শরীরে ব্যবহার নিরাপদ কিনা তা জানতে আরও পরীক্ষার প্রয়োজন আছে।
(১১)অশ্বগন্ধা হার্টের পেশি শক্তিশালী করে হৃদযন্ত্রের সামগ্রিক ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, যার ফলে রক্ত জমাট হয় না এবং হৃদয় ( হার্ট) এর ওপর চাপ কমে। হৃদরোগের অন্যতম ঝুঁকি কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়।
(১২)অশ্বগন্ধা পার্কিনসন ও অ্যালজাইমারের দরুণ স্নায়বিক ক্ষতির হার কমিয়ে দেয়।
(১৩)সাপের কামড়ের জায়গায় অশ্বগন্ধার প্রলেপ সাপের বিষ প্রশমিত হয় এবং শরীরের অন্যত্র তা ছড়ায় না।
(১৪)অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের সমৃদ্ধ উৎস হওয়ার দরুণ অশ্বগন্ধা একটি প্রকৃত বার্ধক্য প্রতিরোধী ভেষজ
(১৫)অশ্বগন্ধা চুলে পুষ্টি জোগায়, যা চুল পড়া কমতে সাহায্য করে এবং চুল দীর্ঘ এবং উজ্জ্বল করে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হওয়ার কারণে অকালে চুলে পাক ধরা এবং চুল পড়া বন্ধ হয়।
(১৬)অশ্বগন্ধার মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তা কমায়, হরমোন নির্যাসে সমতা নিয়ে আসে, রজঃস্রাবের উপসর্গ হ্রাস করে।
(১৭)অশ্বগন্ধা পুরুষদের প্রজনন ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এটি শুধুমাত্র শুক্রাণু সংখ্যা এবং টেস্টোস্টেরোন বৃদ্ধি করে না, এটি যৌনক্ষমতা এবং ক্রিয়ার উন্নতি ঘটায়।
(১৮)অশ্বগন্ধার বহু উপকারিতা এবং ব্যবহার আছে তবে এটি প্রাথমিকভাবে মানসিক চাপ প্রতিরোধী থেরাপির জন্য ব্যবহৃত হয়।
(১৯)যাঁদের ডায়বিটিস আছে সে সব রোগীর ক্ষেত্রে শরীরে ইনসুলিন ক্ষরণের পরিমাণ বৃদ্ধি করে রক্তে শর্করার মাত্রা কমায়। স্বাস্থ্যবান ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে রক্তে শর্করার পরিমাণ কমাতেও এটি কার্যকরী।
(২০)অশ্বগন্ধা পিত্ত বৃদ্ধি করে এবং বাত এবং কফ হ্রাস করে। এভাবে গাঁটের ব্যাথা কমাতে সাহায্য করে।
(২১)ত্বকের সমস্যা যেমন এগজিমা, সোরাইসিস এবং খুসকি জাতীয় চুলের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে।
(২১)অশ্বগন্ধাও ফ্যাগোসাইটিক ক্রিয়া বাড়াতে সাহায্য করে। এভাবে এটি আমাদের শরীরে সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ক্ষমতা বাড়ায়।
(২২)অশ্বগন্ধা চা খেলে সর্দি-কাশি বা ঠান্ডা দূর হয়।।
(২৩)দুশ্চিন্তা কমিয়ে উত্তেজনা কমিয়ে এবং সুনিদ্রায় সাহায্য করে।
(২৪)অশ্বগন্ধা শরীরে ট্রাইগ্লিসারাইড এবং কোলেস্টোরেলের মাত্রা কমায়।
(২৫)পার্কিনসন-এর রোগের উপসর্গ হ্রাস করে অশ্বগন্ধা, যদিও এর কারণ সম্পর্কে পরিষ্কার করে কিছু জানা যায়নি।অশ্বগন্ধা চুলে পুষ্টি জোগায়, যা চুল পড়া কমতে সাহায্য করে এবং চুল দীর্ঘ এবং উজ্জ্বল করে।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হওয়ার কারণে অকালে চুলে পাক ধরা এবং চুল পড়া বন্ধ হয়। অশ্বগন্ধার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং পুষ্টিকর প্রভাবের দরুণ এটি একটি আদর্শ কেশ টনিক হিসাবে কাজ করে।
অশ্বগন্ধা কিভাবে খাবেন:
এক কাপ চা, দুধ বা মধুর সঙ্গে 1-2 চা চামচ অশ্বগন্ধা পাউডার বা গুড়া মিশ্রিত করে দিনে দু’বার খাওয়া।এক কাপ চা, দুধ বা মধুর সঙ্গে ১-২ চামচ অশ্বগন্ধা পাউডার মিশ্রিত করে নিয়মিত খেলে ভালো উপকার পাওয়া যায়।
অশ্বগন্ধার মূল গুড়া , দুধ, মধু এবং বাদামের মিশ্রণ ঘুমের টনিক হিসাবে বাবহার করা যেতে পারে।অশ্বগন্ধা পাতার একটি পেস্ট বা মলমের প্রলেপ ক্ষত বা প্রদাহের চিকিৎসায় ব্যবহার করা যায়।
যখন মধুর সঙ্গে মিশ্রিত করে ব্যবহার করা হয়, তখন যৌনস্বাস্থ্যের জন্য তা উপকারী হয়।
অশ্বগন্ধ যাদের খাওয়া উচিত না:
গর্ভবতী কেউ অশ্বগন্ধা নিতে পারবেনা। অশ্বগন্ধা গর্ভপাতের ঝুকি বাড়ায়।
যারা ব্রেস্টফিডিং করায় তারাও অশ্বগন্ধা নিতে পারবেনা।
অশ্বগন্ধা যেহেতু ব্লাড সুগার লেভেল আর রক্ত চাপ কমাতে সাহায্য করে। তাই এসবের মেডিকেশন চললে তা এডজাষ্ট করতে হতে পারে। অর্থ্যাৎ মেডিকেশনের ডোজ কমাতে হবে।
ক্যামোমিল (Chamomile) এমন একটি ঔষধি উদ্ভিদ যা হাজার বছর ধরে বিভিন্ন শারীরিক ও মানসিক সমস্যার…
আমাদের ব্যস্ত জীবনে প্রাকৃতিক উপাদানের স্বাস্থ্য উপকারিতা নিয়ে সচেতনতা বাড়ছে, আর ল্যাভেন্ডার (Lavender) এদের মধ্যে…
বহুল প্রচলিত প্রাকৃতিক আয়ুর্বেদ ও ভেষজশাস্ত্রে অর্জুন গাছের ব্যবহার অগনিত এবং আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে এই অর্জুন…
“ফল ও ফলের বীজ উভয়েই উপস্থিত জাম্বোলাইন ও জাম্বোসাইন নামক পদার্থ রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে…
প্রতিদিন এক গাদা ভিটামিন ট্যাবলেট খেতে খেতে হাপিয়ে যাচ্ছেন না তো,,,? প্রাকৃতিকভাবেই হোক রোগের নিরাময়।…
আপনি জানেন কী তুলসি পাতা কিডনির পাথর নিরাময়ে সাহায্য করে ? কি,জেনে অবাক হচ্ছেন? আসলে…
View Comments
Ed id interdum urna. Nam ac elit a ante commodo tristique. Duis lacus urna, condimentum a vehicula a, hendrerit ac nisi Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit.
Nam ac elit a ante commodo tristique. Duis lacus urna, condimentum a vehicula a, hendrerit ac nisi Lorem ipsum dolor sit ame elit.
Ed id interdum urna. Nam ac elit a ante commodo tristique. Duis lacus urna, condimentum a vehicula a, hendrerit ac nisi Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit...